আঙুলের ছাপ না মিললেও ১ শতাংশ ভোটারকে ভোটদানের সুযোগ দিতে পারবেন নির্বাচন কর্মকর্তারা- এমন বিধান সংযোজন করে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে ইসি। কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সব ভোটারের ১০ আঙুলের ছাপ সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ইভিএমে ভোটদানের জটিলতা আর থাকবে না।
ইভিএমে ভোটদানের সময় অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলা এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যা সমাধানে নির্বাচন কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক নিজের আঙুলের ছাপে ৫ বা ১০ শতাংশ ভুক্তভোগী ভোটারকে ভোটদানের সুযোগ দেন; যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের সমালোচনা করে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন।
অবশেষে কারিগরি এই জটিলতা নিরসনে চারের বদলে ভোটারদের ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন তারা। যা শুরু হবে আগামী মার্চে। কমিশনার মো. আলমগীর জানান, এরই মধ্যে ৫ কোটি ভোটারের ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হলে আর জটিলতা থাকবে না। ’
তবে শেষ অব্দি কারোর যদি আঙুলের ছাপ নাই মেলে, তবে সে সব ভোটারদের ১ শতাংশকে ভোটদানের সুযোগ করে দিতে আরপিও সংশোধন করছে ইসি।
এমন সিদ্ধান্তকে বতমান নির্বাচনী কাঠামোর বিবেচনায় ইতিবাচক মন্তব্য করে বিশ্লেষক আবু আলম শহীদ খান বলেন, তবে ভোট নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত কমিশনের প্রতি অনাস্থা বাড়াবে।
এছাড়াও অনিয়মের অভিযোগে ভোট বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছে কমিশন। আরপিও’তে এমন এক ডজন সংস্কারের প্রস্তাব সরকারকে দিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।